ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই সাটুরিয়ার শিশু শিক্ষার্থীদের ভরসা
২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত আংগুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টিতে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের শিশুরা পড়াশুনা করে। বিদ্যালয়ে যাতায়াতের রাস্তা মধ্যে ছোট একটি কালভার্ট না থাকায় ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করতে হয় তাদের। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে স্কুলে যাতায়াত করলেও নজর নেই কর্তৃপক্ষের। পারাপারের জন্য স্থানীয়রা সেখানে বাঁশ দিয়ে তৈরি করেছে সাঁকো। আর সেই সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, ১৯৭২ সালে আংগুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে। ২০১২ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়। বর্তমানে সব শ্রেণি মিলিয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১১০ জন। বিদ্যালয়ের তিন পাশেই ধানক্ষেত আর বসতি বাড়িঘর। আরেক পাশে রয়েছে একটি পুকুর। প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে শিশুদের একটি মাত্র রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের করতে হয়।
বিদ্যালয়ের যাতায়াতের রাস্তা মধ্যে একটি খাল দ্বারা বিভক্ত খালটির ওপর বাঁশের সেতু দিয়েই যাতায়াত করতে হয় কোমলমতি শিক্ষাথীদের। উপজেলার দিঘলীয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের আংগুটিয়া গ্রামে অবস্থিত বিদ্যালয়ে বাঁশের সেতু দিয়ে রাস্তা পার হওয়ায় শিক্ষার্থীরা অনেক সময় খালে পড়ে গিয়ে কাপড়, বই ভিজিয়ে ফেলে।
আংগুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী তুয়া আক্তার জানায়, স্কুলে আসার রাস্তা ভাঙা থাকায় বাঁশ দিয়ে বানানো ব্রিজ পেরিয়ে স্কুলে আসে ছাত্রছাত্রীরা। ব্রিজ পার হওয়ার ভয়ে স্কুলে আসে না অনেকে। প্রতিদিন তাদের ক্লাসে মাত্র ৫ থেকে ৬ জন ছাত্রছাত্রী আসে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অভিভাবক মারিয়া আক্তার শিউলি বলেন, স্কুলে যাওয়ার একটি রাস্তা মধ্যে কালভার্ট না থাকায় বাচ্চারা স্কুলে যেতে চায় না। বাচ্চাকে স্কুলে পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকি, খালে পড়ে যায় কি না। এ জন্য মাঝে মধ্যে স্কুলে গিয়ে বাচ্চার জন্য বসে থাকতে হয়।
আংগুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শওকত আলী বলেন, খালের ওপর কালভার্ট না থাকায় অনেক ভোগান্তি হয়। স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীরা আসতে চায় না। অভিভাবকরা বাচ্চাদের দিতে চান না। বর্ষা মৌসুমে আরো বেশি সমস্যা হয়।
বাঁশের সেতু দিয়ে আসতে গিয়ে পানিতে পড়ে বইখাতা ভিজে যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে। এলাকাবাসীর সহযোগিতার এক লাখ টাকা দিয়ে খালের ওপর দিয়ে রাস্তা তৈরি করে ছিলাম তাও বর্ষায় ভেঙে গিয়েছে। তারপর ভাঙা স্থানে বাঁশ দিয়ে সেতু তৈরি করা হয়েছে। ভাঙা স্থানে মাটি দিয়ে ভরাট অথবা একটি কালভার্ট করে দিলে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের চলাচলে সুবিধা হবে।
সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, আমি সবেমাত্র যোগদান করেছি। বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সাবেক প্রধান বিচারপতির মৃত্যুতে সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ থাকবে আজ
বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস
কুড়িগ্রামে বাড়ছে শীতের তীব্রতা, তাপমাত্রা ১৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
আজ ঢাকায় বাংলাদেশ-বেলজিয়াম রাজনৈতিক সংলাপ
চকরিয়ায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
কুরস্কে ৪০ শতাংশ এলাকার দখল হারিয়েছে ইউক্রেন
আমরা জমিদার নই,মানুষের পাহারাদার : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
জর্ডানে ইসরাইলি দূতাবাসের কাছে গুলি, বন্দুকধারী নিহত
ট্রাম্পের জয়ের পর ইলন মাস্কের সম্পদ বাড়ছে রকেট গতিতে
ভয়াবহ তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাজ্য, বহু ফ্লাইট বাতিল
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ১২০ ফিলিস্তিনি
ইভেন্টের সেরা লড়াইটি উপহার দিলেন আফরা-সানজিদা
ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান পাহাড়ের পর জয়-জাকিরকে হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ
নাটকীয় শেষ দশ মিনিটে দুই গোল শোধ করে বার্সাকে রুখে দিল সেল্তা
বিবর্ণ সিটিকে ইতিহাদেই বিধ্বস্ত করলো টটেনহ্যাম
নটিংহ্যামকে হারিয়ে চার ম্যাচের জয়খরা কাটালো আর্সেনাল
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক
পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা
দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত
জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে